ইমাম সমাজের আদর্শবান একজন নেতা। ইমাম হল যিনি সমাজের নেতৃত্ব দেয় । যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান । আর মুয়াজ্জিনরা সমাজের মানুষের কল্যাণ এবং মঙ্গল এর জন্য দৈনিক পাঁচবার মসজিদে আসার জন্য ডাকে ।
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মত পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে থাকেন ইমাম সাহেব, ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিদ্রিষ্ট সময়ে তাকে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়।
ভোর বেলা থেকে অর্থাৎ ফজরের সময় থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত ইমাম এবং মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতে হয় । তাদের চলাফেরা আচার আচরণ কথাবার্তা সম্পুর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ বলা যায় সমাজের অন্য মানুষ থেকে ভিন্ন । আর এই ভিন্নতা দেখা যায় ইসলামিক আদর্শের কারনে । সুতারাং বলা যায় ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা সমস্ত মানুষকে সঠিক পথের নিশানা দিয়ে থাকে। কারন তাদের ভিতর রয়েছে কোরআন এবং হাদিসের জ্ঞান। সুতারাং বলা যায় ইমাম এবং মুয়াজ্জিন সমাজের পথপ্রদর্শক।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে বর্তমান সময়ে ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা কেমন আছে, কিন্তু কে রাখে কার খবর। তারা আমাদের সেবায় নিয়োজিত অথচ আমরা কখনও তাদের নিয়ে ভাবিনা। কারন সকলে জানে ইমাম এবং মুয়াজ্জিনদের স্বল্প টাকা সম্মানি দেয়া হয়। এই স্বল্প টাকায় তাদের সংসার চালানো দুর্বিসহ অবস্থা হয়ে পড়ে। সংসারে বিভিন্ন খরচ কিন্তু এই স্বল্প টাকায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দিন অতিবাহিত করা খুব কষ্টের।
আমরা যে সমাজে বসবাস করছি একবারও কি তাদের নিয়ে চিন্তা করি , আমার মনে হয় না। এ কেমন বিবেক আমাদের। দিন দিন কি আমরা বিবেকহীন হয়ে পড়ছি। আবার মসজিদে মাসিক টাকা আদায় করতে গিয়ে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সময় মত মুসল্লীরা টাকা দেয়না। আবার টাকা দিলেই তার পরিমাণ খুব কম।
কিন্ত কেন এমন হবে প্রশ্ন থেকে যায় সমাজের কাছে রাষ্ট্রের কাছে । তাদের এই স্বল্প টাকায় হিমশিম খেতে হয় পরিবার চালাতে । কিন্ত তাদের দু:খটা মনের ভিতর চাপা রেখে নিজের পরিবার ও সমাজের মানুষের মধ্যে নিঃস্বার্থ ভাবে আলো বিলিয়ে যাচ্ছে।
আল্লাহর অশেষ রহমতে ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা এই স্বল্প সম্মানি পেয়েও তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখের দিন অতিবাহিত করছে ।
সমাজের যে কোন একটা জায়গায় দাড়িয়ে আজ বলতে হচ্ছে ইমাম এবং মুয়াজ্জিনদের আমরা কি সামাজিক মর্যাদা দিতে পারছি? রাষ্ট্র কি তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণ করতে পারছে? না পারেনি। আমাদের কি কোন দায়িত্ব ছিল না, এই পথপ্রদর্শকদের ভাল রাখার, যেখানে মহান রব্বুল আলামিন ইমাম এবং মুয়াজ্জিনদের আখিরাতের ময়দানে সর্বোচ্চ স্থানে ভূষিত করেছেন।
আর বর্তমান সময়ে আমরা ইমাম এবং মুয়াজ্জিনদের অর্থনৈতিক ভাবে কি সমৃদ্ধশালী করতে পারছি, এইরকম হাজার ও প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের মনে ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।